সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
নারায়ণগঞ্জ শহরের অনেক হোটেলে বিরিয়ানি বিক্রি হয়। আশপাশের মানুষতো বটেই দূর-দূরান্ত থেকেও তার স্বাদ নিতে আসে ভোজন বিলাসীরা। তবে তাদের বেশিরভাগই জানেননা কখন ‘তাজা’ বিরিয়ানি বিক্রি হয়। সূত্র মতে, রেস্টুরেন্টগুলোতে দুই প্রকার বিরিয়ানি কাস্টমারের হাতে তুলে দেয়া হয়। এক প্রকারের নাম তাজা অপরটি বাসি। দীর্ঘদিন ধরে শহরের নামী-বেনামী হোটেলগুলোতে বাসি বিরিয়ানি বিক্রি হলেও দেখার যেন কেউই নেই।
রফিক (ছদ্মনাম) নামের একজন ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন, গত বৃহস্পতিবার বিকালে চাষাঢ়ার এ্যাটেল মাটি হোটেলে চিকেন বিরানী অর্ডার করি। খাবারের প্লেট টেবিলে পরিবেশন করার পর খেয়ে দেখি মান খুব খারাপ। আমি এর আগেও বেশ কয়েকবার এই হোটেলে দুপুরের খাবার সহ সন্ধ্যার নাস্তা করেছি। তবে সেই দিনের বিরিয়ানি খেয়ে বুঝলাম তা বাসি।
আরেকজন ভুক্তভোগী নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, চাষাঢ়ার প্রিন্স বিফ হাউজ এ কয়েকদিন খাওয়ার পর বুঝতে পারি নিয়মিত তারা বাসি খাবারও বিক্রি করে।
অন্য এক ব্যক্তি জানান, চাষাঢ়া মাধবী লতা ভবনের নিচ তলায় অবস্থিত নান্না বিরানী হাউজে একদিন রাত ১০টার দিকে দেখি কর্মচারীরা হোটেল বন্ধ করার পূর্বে বেচে যাওয়া বিভিন্ন খাবার একটি পাতিলে সংগ্রহ করছে। এই গুলো কি করা হবে জানতে চাইলে একজন কর্মচারী জানান, আমাদের আরেকটি শাখা রয়েছে সেখানে এগুলো নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তবে হোটেলের আশপাশের দোকানীরা জানান , বেচে যাওয়া খাবারগুলো আগামীকাল আবার বিক্রি করা হবে। ওই ব্যবসায়ীরা জানান, এই হোটেলে কখন তাজা বিরিয়ানি বিক্রি হয় তা আমাদের জানা আছে। যখন তাজা বিরিয়ানি আসে তখনই খাই। তবে হোটেলের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি এ অভিযোগ অস্বীকার করেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অনেক হোটেল রেস্টুরেন্ট খাসীর বিরিয়ানির কথা বলে ছাগলের মাংস ব্যবহার করে। আবার বিক্রি না হওয়া খাবার পরের দিনের জন্য রেখে দেন।
নগরির হোটেলগুলোতে অস্বাস্থ্যসম্মত ও বাসি খাবার পরিবেশনের বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট যুথিকা সরকার দৈনিক সংবাদচর্চাকে বলেন, যে সকল হোটেলগুলোতে অস্বাস্থ্যসম্মত ও বাসি খাবার পরিবেশন করা হয় সেই হোটেলগুলোতে অভিযান পরিচালনা করা হবে।